সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫ , ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপিতে চাঁদাবাজের ঠাঁই নেই : মাহবুবুর রহমান ৯ মাসে ছয়শ’র বেশি ধর্ষণ এনসিপির কেন শাপলাই চাই? সুনামগঞ্জে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলো শারদীয় দুর্গোৎসব ৪০০ ছাড়িয়েছে কাঁচা মরিচ, শতকের কাছাকাছি বেশিরভাগ সবজি ‎জামালগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা দেখার হাওর ঢেকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উকিলপাড়ায় পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গমন : দুর্ঘটনার আশঙ্কা দুর্গাপূজা : মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ৩ ফার্মেসিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা পথে যেতে যেতে: পথচারী সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্পিডব্রেকারগুলো যেন মরণফাঁদ! ‎জামালগঞ্জে 'উন্নতি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির' শিক্ষা উপকরণ ও  বস্ত্র বিতরণ সুনামগঞ্জে 'ধর্ষণ মামলায়' আসামিদের শাস্তির দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি : সিইসি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড আজীবন জনগণের সেবা করতে চাই : পাবেল চৌধুরী ফার্মেসিতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’

সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে হবে

  • আপলোড সময় : ২৬-০৭-২০২৫ ১২:০১:১৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৭-২০২৫ ১২:০১:১৯ পূর্বাহ্ন
সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে হবে
শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলায় পৃথক দুটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনটি প্রাণ ঝরে গেছে, আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। এ খবর শুধু একটি দুঃখজনক ঘটনার বিবরণ নয়; বরং এটি আমাদের অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বহীনতা ও সড়ক নিরাপত্তার অভাবের প্রতিচ্ছবি। প্রতিনিয়তই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এভাবে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকর প্রতিকার দেখা যাচ্ছে না। শান্তিগঞ্জে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক ও চার মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। আর জগন্নাথপুরে এক তরুণ বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, বেঁচে থাকা দুই বন্ধু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। এসব ঘটনার পেছনে অতিরিক্ত গতি, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, লাইসেন্সবিহীন চালক এবং মহাসড়কে অব্যবস্থাপনা - সবকিছুই দায়ী। অহরহ দেখা যায়, সড়কে চলাচলকারী লেগুনা, মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার অনেকগুলোরই লাইসেন্স নেই, যন্ত্রাংশ নষ্ট, বা চালকের যথাযথ প্রশিক্ষণ নেই। আবার বেশিরভাগ দুর্ঘটনায় ‘দায়ী’ যানটি দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায় বা চালককে খুঁজে পাওয়া যায় না। আইন প্রয়োগে এই ব্যর্থতা সড়ককে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে। প্রকৃতপ্রস্তাবে, সড়ক দুর্ঘটনাকে ‘দৈব ঘটনা’ হিসেবে দেখার দিন শেষ। এখন প্রয়োজন পরিকল্পিত পদক্ষেপ। প্রতিটি দুর্ঘটনার বিচারিক তদন্ত হওয়া জরুরি, যাতে দায়ীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যায়। মহাসড়কে চলাচলরত সব যানবাহনের বৈধতা যাচাই, চালকদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স নিশ্চিতকরণ এবং দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো জরুরি। স্থানীয় প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নিয়মিতভাবে অভিযান চালানো যেতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- নাগরিকদের সচেতনতা। চালকদের যেমন ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলতে হবে, তেমনি যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে নিরাপদ ভ্রমণের ব্যাপারে। প্রতিটি দুর্ঘটনা আমাদের সচেতন করার জন্য একটি সতর্কবার্তা। সঠিক পদক্ষেপ না নিলে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর মিছিল থামবে না। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- জনগণের জীবন রক্ষায় উদ্যোগী হোন। কারণ, প্রতিটি প্রাণ অমূল্য।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স